স্বদেশ ডেস্ক:
কায়রোর মানবাধিকার রেকর্ড নিয়ে ওয়াশিংটনের চলমান উদ্বেগ সত্ত্বেও মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার মিসরের কাছে পরিবহন বিমান ও রাডার সিস্টেমের দুটি প্রধান সামরিক সরঞ্জাম বিক্রয়ের অনুমোদন দিয়েছে।
১২টি সি-১৩০ জে সুপার হারকিউলিস পরিবহন বিমান এবং আনুসঙ্গিক সরঞ্জামের বিক্রয় মূল্য ২.২ বিলিয়ন ডলার।
মার্কিন প্রতিরক্ষা নিরাপত্তা সহযোগিতা সংস্থা বলেছে, এই বিক্রয় এখনো চূড়ান্ত হয়নি, তবে অস্ত্র ফোর্স এবং সরঞ্জাম স্থানান্তরে এয়ারলিফট সুবিধা দেবে যা বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ হুমকি মোকাবেলায় মিসরের সক্ষমতার উন্নয়ন ঘটাবে।
বিমানগুলো সামুদ্রিক টহল এবং উদ্ধার অভিযানের জন্যও ব্যবহার করা যাবে।
দ্বিতীয় চুক্তিতে মিসর বিমান হুমকি মোকাবেলায় ৩৫ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলারের স্থলভিত্তিক বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কিনতে পারে।
মিশরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ আল-সিসির রাজনৈতিক বিরোধীদের প্রতি কঠোর আচরণের বিষয়ে ওয়াশিংটনের চলমান অস্বস্তি সত্ত্বেও এই চুক্তির অনুমোদন দিয়েছে। মানবাধিকার গোষ্ঠী ধারণা করছে, মিসরে প্রায় ৬০ হাজার রাজনৈতিক বন্দী রয়েছেন।
সেপ্টেম্বরে মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে পররাষ্ট্র দফতর মিসরের জন্য ইতোমধ্যে বরাদ্দ ১৩০ মিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তার ওপর স্থগিতাদেশ জারি করে।
নভেম্বরের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টোনিও ব্লিনকেন মানবাধিকারের ক্ষেত্রে ‘বাস্তব ও দীর্ঘস্থায়ী উন্নতি’ নিয়ে দ্বিপক্ষীয় আলোচনার জন্য মিসরের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন।
কিন্তু ২০২১ সালের ১ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ২০২২ অর্থবছরের জন্য বাইডেন প্রশাসন কায়রোর জন্য দ্বিপক্ষীয় সহায়তায় ১.৪ বিলিয়ন ডলার বাজেট বরাদ্দ করেছে, যার বেশিরভাগই সামরিক সম্পর্কিত-যা পূর্ববর্তী বছরের মতোই।
সূত্র : বাসস